একুশে পদকে থাকছে না গ্রুপ ফটো সেশন : ফারুকী

অনলাইন ডেস্ক

এ বছরের একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে গ্রুপ ফটো সেশনের রেওয়াজ থাকবে না বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
রবিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি তথ্য জানান তিনি।উপদেষ্টা বলেন, ‘পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণীজনদের গ্রুপ ফটো সেশন নিয়ে গতকাল থেকে নানারকম আলোচনা হচ্ছে। আপনারা সবাই জানেন সরকার বা পুরস্কার প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাথে স্টেজেই পুরস্কারপ্রাপ্তদের গ্রুপ ফটো সেশনের একটা রেওয়াজ চালু আছে।
কিন্তু আমরা তো সংস্কার করতে আসা সরকার। আমাদের কেনো রেয়াজ মানতে হবে?’তিনি আরো বলেন, ‘আজ আমাদের মন্ত্রণালয়ে এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি গ্রুপ ফটো সেশনের এই রেওয়াজ এ বছরের একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠান থেকে আর রাখা হবে না। গ্রুপ ফটো সেশন কোথায় কিভাবে হবে এটা নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’

 

সালাম দিয়ে বলতে হবে, ‘প্রিয় খুনী, আপনি আমার প্রণাম গ্রহণ করুন?’

 অনলাইন ডেস্ক

সালাম দিয়ে বলতে হবে, ‘প্রিয় খুনী, আপনি আমার প্রণাম গ্রহণ করুন?’
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বইমেলা প্রাঙ্গনে বসানো ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার ছবি থাকাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিতর্কে মুখ খুললেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।রবিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ছয়মাস হলো আমরা একটা খুনী-সাইকোপ্যাথের হাত থেকে মুক্তি পাইছি। জাস্ট ছয় মাস!’

তিনি বলেন, ‘যে খুনী শত শত মানুষকে গুম করিয়েছে, হাজার হাজার বিরোধী মতের মানুষকে খুন করিয়েছে, জুলাইতে একটা নারকীয় গণহত্যা চালিয়েছে, ইলিয়াস আলিকে গুমের পর হত্যা করে তার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে নাটক করেছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি করিয়ে মানুষ মেরেছে- তার সাথে শিষ্টাচার?’

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘হিটলারের সাথে শিষ্টাচার? আর ইউ সিরিয়াস? সালাম দিয়ে বলতে হবে, ‘প্রিয় খুনী, আপনি আমার প্রণাম গ্রহণ করুন?’

 

বইমেলার দ্বিতীয় দিনে এলো ১৩ বই

বইমেলার দ্বিতীয় দিনে এলো ১৩ বই
অমর একুশে বইমেলার প্রথম দিনে তোলা ছবি। ফোকাস বাংলা
অমর একুশে বইমেলার দ্বিতীয় দিনে ১৩টি বই এসেছে। আজ রবিবার মেলার সময় ছিল বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।নতুন বইগুলোর মধ্যে দুটি গল্পের বই, একটি উপন্যাস, চারটি কবিতার বই, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই একটি, ইতিহাসভিত্তিক একটি, বিজ্ঞানবিষয়ক দুটি ও অন্যান্য দুটি।আগামীকাল সোমবার বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘হায়দার আকবর খান রনো’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।
এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সোহরাব হাসান। আলোচনায় অংশ নেবেন আবদুল্লাহ আল ক্বাফী রতন এবং জলি তালুকদার।আজ ‘হেলাল হাফিজের রাজনৈতিক পাঠ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বইমেলার মূলমঞ্চে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সুমন রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. কুদরত-ই-হুদা।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মৃদুল মাহবুব।প্রাবন্ধিক বলেন, ‘ঊনসত্তরের গর্ভ থেকে যেসব কবির জন্ম হয়েছিল, কবি হেলাল হাফিজ তাদের মধ্যে অন্যতম। তার কবিতার উচ্চারণ ছিল রাখঢাকহীন, স্পষ্ট, অনাবিল ও অভাবিত। কবিতা তাঁর কাছে কেবল ব্যক্তিগত দীর্ঘশ্বাসের বিষয় ছিল না।
তিনি মনে করতেন, সমষ্টির জন্যও কবিতার একটা দায় আছে। সত্তর থেকে চুয়াত্তরের মধ্যে যে রাজনৈতিক কবিতাগুলো তিনি লিখেছেন, সেগুলোর মূল সুর কখনো মুক্তিযুদ্ধ, কখনো স্বাধীনতাত্তোর রাজনৈতিক পরিস্থিতিজাত হতাশা, আশাবাদ, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের অবস্থা ও অবস্থান, রাষ্ট্রের কাছে কবির প্রত্যাশা, দ্রোহ-এসবই তার কবিতায় কখনো প্রত্যক্ষভাবে কখনো পরোক্ষভাবে উঠে এসেছে।’আলোচক আরো বলেন, “কবি হেলাল হাফিজের কবিতার কথা বললেই পাঠকের মানসপটে ভেসে ওঠে ‘এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ পঙক্তিটি। বাংলা ভাষার যেসব কবি কবিতা, নিজস্ব জীবনদর্শন ও জীবনযাপন দিয়ে মিথ হয়ে উঠতে পেরেছেন, কবি হেলাল হাফিজ তাদের একজন।
কবিতার ভেতর প্রেম, বিদ্রোহ ও রাজনৈতিক চেতনা কবিকে মানুষের অনুভূতির কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে। হেলাল হাফিজ তার কবিতার মাধ্যমে মানুষের অনুভূতির সেই সুরটি স্পর্শ করতে পেরেছিলেন।”সভাপতির বক্তব্যে সুমন রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ঊনসত্তর ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি সময়। কবি হেলাল হাফিজ তার কবিতায় সেই সময়টিকে ধারণ করেছেন। পাশাপাশি, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় উদ্ভূত দ্রোহ, সংগ্রাম, আশাবাদ, বিষাদ সব কিছুই তিনি কবিতায় তুলে এনেছেন।’‘লেখক বলছি’ মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি রাসেল রায়হান, কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন শফিক এবং শিশুসাহিত্যিক আশিক মুস্তাফা।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি হাসান হাফিজ এবং জাকির আবু জাফর। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী অনন্যা লাবণী এবং শিপন হোসেন মানব।

সুমন মজুমদারের পরিচালনায় ছিল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সঙ্গীতমঞ্জুরী শিল্পীগোষ্ঠী’র পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী রিজিয়া পারভীন, প্রিয়াংকা গোপ, ইসরাত জাহান, মিজান মাহমুদ রাজীব, মো. মাইদুল হক এবং নাফিজা ইবনাত কবির। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন শিমুল বড়ুয়া (তবলা), রাজিব আহমেদ (কি-বোর্ড), মো. মেজবাহ উদ্দিন (অক্টোপ্যাড), সাইদ হাসান ফারুকী (লিড গিটার), পল্লব দাস (বেইজ গিটার)।

 

 

 

inside-post
আরো দেখুন