ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে ‘কাজ শেষ করবে’। জেরুজালেমে সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘গত ১৬ মাসে ইসরায়েল ইরানের সন্ত্রাসী অক্ষের ওপর কঠোর আঘাত হেনেছে। প্রেসিডেন্ট (ডোনাল্ড) ট্রাম্পের দৃঢ় নেতৃত্বের অধীনে ও আপনাদের অটল সমর্থন নিয়ে, আমার কোনো সন্দেহ নেই যে আমরা কাজ শেষ করতে পারব এবং করব।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর ইসরায়েল গাজায় ইরান সমর্থিত ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং লেবাননে তেহরান সমর্থিত হিজবুল্লাহর সঙ্গেও লড়াইয়ে জড়িয়েছে। এ ছাড়া ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইয়েমেন ও ইরাকে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণেরও মুখোমুখি হয়েছে ইসরায়েল।
নেতানিয়াহু আরো বলেন, ‘ইরানের হুমকি মোকাবেলায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনর্নির্বাচিত হওয়ায় তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ট্রাম্প দ্রুত ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতিতে ফিরে গেছেন, যা তার প্রথম মেয়াদের মতো ইরানের কথিত পারমাণবিক অস্ত্র সক্ষমতা অর্জনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও রবিবার বলেন, ইরান কখনোই পারমাণবিক শক্তি অর্জন করতে পারবে না এবং তিনি ইসলামি প্রজাতন্ত্রটিকে মধ্যপ্রাচ্যের ‘সবচেয়ে বড়’ অস্থিতিশীলতার উৎস হিসেবে বর্ণনা করেন।
নেতানিয়াহুর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে রুবিও বলেন, ‘পারমাণবিক ইরান কখনোই হতে পারবে না, কারণ পারমাণবিক অস্ত্রের মাধ্যমে তারা যেকোনো চাপ ও প্রতিক্রিয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে। এটা কোনোভাবেই ঘটতে দেওয়া যাবে না।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা হামাস, হিজবুল্লাহ, পশ্চিম তীরের সহিংসতা, সিরিয়ার অস্থিতিশীলতা, কিংবা ইরাকি মিলিশিয়াদের কথাই বলি না কেন—প্রত্যেক ক্ষেত্রেই একটি সাধারণ বিষয় রয়েছে, আর সেটি হলো ইরান।’
গাজা যুদ্ধের কারণে বাড়তে থাকা আঞ্চলিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে গত বছর প্রথমবারের মতো ইরান ও ইসরায়েল একে অপরের বিরুদ্ধে সরাসরি হামলা চালায়। ২৬ অক্টোবর ইসরায়েল ইরানের সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়ে চারজন সেনাকে হত্যা করে, যা ১ অক্টোবর ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় করা হয়। ১৩ এপ্রিল ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসরায়েলের দিকে, যা ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলের সন্দেহভাজন হামলার প্রতিশোধ হিসেবে চালানো হয়।
সূত্র : এএফপি
মোবাইল: +৮৮০১৭১১৯৯৭৯৫৭
ইমেইল: sahabibcomilla@gmail.com
24newstv.tv