
৯ জুলাই ২০২৫,
কেরালার বাসিন্দা ভারতীয় নার্স নিমিষা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে আগামী ১৬ই জুলাই বুধবার। তিনি ইয়েমেনের এক নাগরিককে হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। গত বছর ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট তার মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদন করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে তারা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছে এবং সবরকম সহায়তা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
নিমিষা প্রিয়া ২০০৮ সালে ইয়েমেনে পাড়ি জমান মা-বাবাকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য। বিভিন্ন হাসপাতালে কাজ করার পর নিজে একটি ক্লিনিক খোলেন।
ইয়েমেনের আইনে হত্যাকাণ্ড ছাড়াও ধর্মত্যাগ, মাদক পাচার, ব্যভিচার, সমকামিতা, যৌন পেশার সহায়তা ইত্যাদি অপরাধের জন্যও মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। ইসলামি শরিয়া আইনে ‘ব্লাড মানি’ বা রক্তের বিনিময়ে মূল্য দেওয়ার মাধ্যমে হত্যার শিকার ব্যক্তির পরিবার যদি ক্ষমা করে, তবে মৃত্যুদণ্ড রদ করা যেতে পারে। তবে এর অঙ্ক সম্পূর্ণ নির্ধারিত হয় ভুক্তভোগী পরিবারের ইচ্ছামতো। নিমিষা প্রিয়ার মা কোচিতে গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। তিনি বাড়ি বিক্রি করে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নিমিষার আইনজীবী সুভাষ চন্দ্রন। তিনি জানান, নিমিষাকে বাঁচাতে একদল রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, কর্মী এবং প্রবাসীরা মিলে একটি আন্তর্জাতিক কমিটি গঠন করেছে।
তবে সমস্যা দেখা দেয় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, যখন ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে আলোচনার জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত ইয়েমেনি আইনজীবী আবদুল্লাহ আমির আগাম প্রায় ১৬.৬ লাখ রুপি দাবি করেন।
যদিও ভারত সরকার ২০২৩ সালের জুলাই মাসে তাকে ১৯,৮৭১ রুপি পরিশোধ করে। এরপরও তিনি মোট ৪০,০০০ রুপি ফি দাবি করে আলোচনা স্থগিত করেন।
নিমিষার মা বলেন, আমি ভারত ও কেরালা সরকারের কাছে এবং এই কমিটির কাছে কৃতজ্ঞ। তারা যেটুকু সম্ভব করেছে, সব করেছে। কিন্তু এখন আমি চূড়ান্ত আবেদন জানাচ্ছি- আমার মেয়ের জীবন বাঁচান। সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১১৯৯৭৯৫৭
ইমেইল: sahabibcomilla@gmail.com
24newstv.tv