অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, তার স্ত্রী নূর জাহান বেগমসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে ফেনী মডেল থানা পুলিশ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র জমা না দেওয়ায় এই মামলা করা হয়। অভিযুক্ত অপর দুই জন হলেন—ফেনী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান করিম উল্ল্যাহ বিকম এবং ফাজিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুল হক রিপন। নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে আরো এক মামলা
রবিবার (১৩ জুলাই) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ।
এর আগে গত বছর ৫ আগস্ট ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই গোলাম কিবরিয়া জানান, নিজাম হাজারী একটি ৩২ বোর এনপিবি পিস্তল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি হয়।নিজাম হাজারীর ব্যাংক হিসাবে ৫৪৮ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন
এ বিষয়ে ফেনী জেলা আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন ভূঁঞা বলেন, ‘গত বছরের ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে ছাত্র আন্দোলনে যেসব অস্ত্র ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর মধ্যে অভিযুক্তদের অস্ত্র ছিল।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামছুজ্জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গত ৩০ জুন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ফেনী সদর আমলি আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয় এবং আগামী ৭ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।’প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নিজাম হাজারীসহ অভিযুক্ত চারজন পালিয়ে যান এবং বর্তমানে তারা প্রতিবেশী দেশ ভারতে অবস্থান করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে নিজাম হাজারীর স্ত্রী নূর জাহান বেগম ছাড়া বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে আন্দোলন দমনে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার একাধিক মামলা রয়েছে।