থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাক প্রদেশের একটি জঙ্গলে তারা সোমবার ‘কামিকাজে ড্রোনটি’ খুঁজে পেয়েছে, যা থাইল্যান্ডের সীমান্তের ১৫ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত।
থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাক প্রদেশের একটি জঙ্গলে তারা সোমবার ‘কামিকাজে ড্রোনটি’ খুঁজে পেয়েছে, যা থাইল্যান্ডের সীমান্তের ১৫ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থিত।
মঙ্গলবার রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘এই ঘটনায় কোনো বেসামরিক নাগরিক আহত বা নিহত হয়নি এবং কোনো সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ড্রোনটি মায়ানমার সেনাবাহিনীর ছিল এবং প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ওপর হামলার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল, তবে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে থাই ভূখণ্ডে বিধ্বস্ত হয়।’
এএফপি বলছে, ২০২১ সালে মায়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের পতনের পর থেকে দেশটিতে চলমান সংঘর্ষের প্রভাব প্রায়ই থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলে গিয়ে পড়ে। মায়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়া জান্তা বাহিনীর সদস্য, সাধারণ শরণার্থী ও অর্থনৈতিক দুরবস্থার শিকার অভিবাসীরা প্রায়ই দুই দেশের মধ্যে থাকা দুই হাজার ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত অনুমোদনহীনভাবে অতিক্রম করে থাকে।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, একটি বিশেষ দল বিস্ফোরক উপাদান নিষ্ক্রিয় করেছে। পাশাপাশি সীমান্ত সংলাপ সংগঠনের মাধ্যমে এই ঘটনায় একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
মায়ানমারের জান্তা সরকার ও তাদের বিভিন্ন প্রতিপক্ষ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে কৌশলগত সুবিধা পেতে ড্রোনের ওপর দিন দিন আরো বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়েছে, ‘ড্রোন সহজলভ্য, সহজে রূপান্তরযোগ্য ও খরচ কম হওয়ায় তা প্রতিরোধ গোষ্ঠী ও সেনাবাহিনী—উভয়ের পক্ষেই যুদ্ধক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়া ও সেনা হতাহতের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে কার্যকর হয়েছে।’
মোবাইল: +৮৮০১৭১১৯৯৭৯৫৭
ইমেইল: sahabibcomilla@gmail.com
24newstv.tv