বর্জ্য শোধনাগার ব্যবস্থা নিয়ে বেপজা কুমিল্লা ও কৃষক সমবায় সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

বর্জ্য শোধনাগার ব্যবস্থা নিয়ে বেপজা কুমিল্লা ও কৃষক সমবায় সমিতির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক :৩১ জুলাই ২০২৫

inside-post

কুমিল্লা ইপিজেডের বর্জ্য শোধনাগার ব্যবস্থা নিয়ে কুমিল্লা জেলা কৃষক সমবায়ী ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১২টায় কুমিল্লা ইপিজেডের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহবুব।

সভায় নির্বাহী পরিচালক বলেন, কুমিল্লা ইপিজেডের কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) থেকে পরিশোধিত পানি এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন দক্ষিণ চর্থা, চকবাজার, থিরাপুকুর পাড় এলাকার সুয়ারেজ বর্জ্য দুটি খালের মাধ্যমে ইপিজেডের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অবস্থিত সিইটিপির আউটলেট পয়েন্টে একত্রিত হয়। সেখান থেকে এসব পানি বিভিন্ন খাল অতিক্রম করে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে ডাকাতিয়া নদীতে গিয়ে পতিত হয়।

তিনি আরও বলেন, ইপিজেডের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত পাঁচটি খালের নাব্যতা হ্রাস, প্রস্থ সংকোচন, অবৈধ দখল এবং যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারণে পানি দ্রুত নদীতে প্রবাহিত হতে পারছে না। ফলে খালের পানিতে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের আওতায় এখন পর্যন্ত কোনো সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি) না থাকায় সুয়ারেজ বর্জ্য সরাসরি খালে পড়ছে, যা পানিদূষণের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে খাল খননসহ যাবতীয় কাজ শেষ হলে পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে।

সভায় উপস্থিত থেকে ইপিজেড কর্তৃপক্ষের মনিটরের ডকুমেন্টারি দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের খালগুলোতে দূষণের কারণে প্রায় ৩৩ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দায় শুধু কুমিল্লা ইপিজেডের ওপর চাপানো যাবে না। এর জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহফুজা মতিন, বেপজার অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) ফারুক হাসান খান, কুমিল্লা জেলা কৃষক সমবায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন, অ্যাডভোকেট স্বপন আহমেদ, ইসমাইল মজুমদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সভায় খাল ও পানিদূষণ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সকল পক্ষকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

আরো দেখুন