চৌদ্দগ্রাম বিএনপি নেতা কামরুল হুদার নেতৃত্বে উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা

চৌদ্দগ্রাম বিএনপি নেতা কামরুল হুদার নেতৃত্বে উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক :

স্বেরাচারী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও আ’লীগ সরকার পতনের পর চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির ঘাটি হিসেবে নেতাকর্মীদের নিয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা উজ্জীবিত হয়ে নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেন। তার জনপ্রিয়তা নিয়ে এগিয়ে চলেন। দীর্ঘদিন কোণঠাসা থাকার পর ৫ আগষ্টের নেতাকর্মীদের নিয়ে উজ্জীবিত হয়ে উঠেন। তিনি উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বিশাল সমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ দলের অঙ্গসংগঠনকে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কমিটি করেছেন। যার ফলে নেতাকর্মীরা তার প্রতি আস্থাশীল।
কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ কামরুল হুদাকে ঘিরে আশাবাদী হয়ে উঠেছে সাধারণ জনগণ। দীর্ঘদিন ধরে দলের দায়িত্বশীল ও তৃণমূলনির্ভর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এই নেতা এলাকায় একজন সৎ, সাহসী এবং জনগণের স্বার্থে আপসহীন কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত। চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মোঃ কামরুল হুদার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। বিশেষ করে তরুণ ভোটার, চাকরিপ্রত্যাশী, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষেরা তাকে একজন “মানুষের নেতা” হিসেবে মূল্যায়ন করছেন। জনগণের প্রত্যাশা ও বিশ্বাস,তিনি শুধু রাজনৈতিক নেতা নন, একজন সমাজসেবক হিসেবেও পরিচিত। সাধারণ মানুষের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ানো ও প্রতিটি গ্রামে সরাসরি উপস্থিত থেকে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেন। সত্যনিষ্ঠ ও পরিশ্রমী, বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে কামরুল হুদার অগ্রণী ভূমিকা এবং দলের প্রতি নিষ্ঠা কামরুল হুদাকে একটি পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নেতা হিসেবে তুলে ধরেছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়- ১৯৯১ সাল চৌদ্দগ্রামে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী একজন পদচ্যুত সরকারের প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদ, অপরজন মুজিবুল হক মুজিব। তার মঝেই নবীন হিসেবে মো: কামরুল হুদার দৃষ্টি কাড়েন চৌদ্দগ্রামবাসীর। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তরুণ প্রজন্মের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। চৌদ্দগ্রামের রাজনীতিতে ফ্যাক্টর হিসেবে আবির্ভূত হন কামরুল হুদা। ১৯৯১ সাল থেকে চৌদ্দগ্রামের রাজনীতিতে কামরুল হুদার অবস্থান সুসংহত। ২০০৯ সালের পর থেকে জামায়াত অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে জাতীয় রাজনীতির কারণে।
বিএনপি’র রাজনীতিতেও পরিবর্তন ঘটতে থাকে। পুরনো নেতারা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। কামরুল হুদার কাছে। বিএনপি’র হাল ধরেন কামরুল হুদা। তিনি দলকে গুছাতে থাকেন। বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা নির্বাচনেও অংশ নেন। তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রায় ৪২ হাজার ভোট পান। ২০০৯ সালের পর আওয়ামীলীগ যতই শক্তিশালী হয় ততই দুর্বল হয় জামায়াত। অপরদিকে বিএনপি তৃতীয় সারির দল হিসেবে এগুতে থাকে। শুরুতে দলীয় কোন্দল থাকলেও এক পর্যায়ে কামরুল হুদার একক নিয়ন্ত্রণে আসে বিএনপি। আওয়ামীলীগও নিজেদের শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবে জামায়াতকে বিবেচনা করে। অপরদিকে বিএনপি’র কামরুল হুদা কৌশলে চৌদ্দগ্রামের মাঠ চষে বেড়ায়। জামায়াত নিরব হওয়ার কারণে কামরুল হুদা রাজনীতিতে বাড়তি সুবিধা পায়।
আগামী নির্বাচনে কামরুল হুদা নির্বাচিত হলে চৌদ্দগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সড়ক, শিক্ষা, চিকিৎসা ও কৃষি সহায়তা নিশ্চিত করবেন। চৌদ্দগ্রামে যারা পরিবর্তন চান, তারা বিশ্বাস করেন, মোঃ কামরুল হুদা ক্ষমতায় এলে একটি জবাবদিহিমূলক প্রশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত উন্নয়ন সম্ভব। একজন দোকানদার বলেন, “কামরুল ভাই মাটি ও মানুষের নেতা। উনার মতো নেতাই দরকার এই চৌদ্দগ্রামে।একজন তরুণ শিক্ষার্থী বলেন, আমরা নতুন মুখ চাই, যিনি শুধু কথা নয়, কাজ করে দেখাবেন। চৌদ্দগ্রামের আসন্ন নির্বাচনে মোঃ কামরুল হুদা হয়ে উঠতে পারেন বিএনপির একমাত্র ভরসা ও জনগণের কাঙ্ক্ষিত প্রতিনিধি যদি এই আস্থাকে রূপান্তরিত করা যায় শক্তিশালী ভোটে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ কামরুল হুদা বলেন, তৃণমূল রাজনীতির জনক তারেক রহমানের নির্দেশে নেতাকর্মীদেরকে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে সভা সমাবেশ করে যাচ্ছি।