অপহরণের ৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার কুবি ছাত্র, আটক ১

অপহরণের ৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার কুবি ছাত্র, আটক ১

 

কুমিল্লা প্রতিনিধি ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

inside-post

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাকিল আহমেদ সবুজ নামের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের চার ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শহরের তোয়া হাউজিং এলাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, শিক্ষার্থী ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় একজনকে আটক করা হয়।

ভুক্তভোগী শাকিল জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টিউশন শেষ করে কুমিল্লা শহর থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য তিনি সিএনজিতে উঠেন। অপহরণকারীরা একই সিএনজিতে অবস্থান করে। পরবর্তীতে দৌলতপুর এলাকায় আসার পর তাকে ভুল রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি সিএনজি থেকে লাফ দেন। এরপর ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য অটোরিকশা নিলে এখানেও অপহরণকারীরা তার পিছু নেয়। পরবর্তীতে তার পেটে ছুরি ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তোয়া হাউজিং এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবনে আটকে রাখে। এরপর শাকিলের ফোন দিয়ে পরিবারের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরনকারীরা।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করে মো. নাহিদ বলেন, ‘তারা পাঁচজন মিলে শাকিলকে অপহরণ করে। বাকি চারজন হলেন বিষ্ণপুর এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে জিহাদ (১৯), ঝাউতলা এলাকার আক্তার মোল্লার ছেলে সাইফুল (২০), ফৌজদারি এলাকার শাহিন (২০) ও আকাশ (২০)।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক সাকিব হুসাইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে অপহরণের তথ্যটি পেয়ে শাকিলের (ভুক্তভোগী) নাম্বার সংগ্রহ করে আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে পাঠাই। পরবর্তীতে সদর সার্কেল পুলিশ ট্রেকিং করে কুমিল্লা জেলা পরিষদের সামনের তোয়া হাউজিং এলাকায় তার অবস্থান জানতে পারে। পুলিশ এবং আমাদের দেখে সে তৃতীয় তলা থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে। তারপর তাকে আমরা হাতে হাতে ধরি। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ও শহরের কিছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় এবং পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় শাকিলকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।’

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মহিনুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছি। নাহিদ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। অপহরণের জড়িত চার-পাঁচজন জড়িত। অন্যান্য আসামিদের ধরতে আমাদের টিম মাঠে কাজ করছে।

 

 

আরো দেখুন