জাতীয়করণের দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

অনলাইন ডেস্ক

 

এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য নিরসনসহ জাতীয়করণের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। আগামীকাল সোমবার গেদারিং ফর ন্যাশনালাইজেশন কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পঞ্চম দিনের মতো অবস্থান ও কর্মবিরতি কর্মসূচি পালনকালে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি প্রিন্সিপাল দেলাওয়ার হোসেন আজীজী এ কথা জানান। এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ-মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সংগঠন ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর ব্যানারে এই কর্মসূচি চলছে।

inside-post
 

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারি নিয়মে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শতভাগ উৎসব ভাতা ও সর্বজনীন (প্রতিষ্ঠান প্রধান থেকে কর্মচারী পর্যন্ত) বদলির দাবি জানান।

জোটের সদস্যসচিব প্রিন্সিপাল দেলাওয়ার হোসেন আজীজী বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের ভাতাসমূহ পরিবর্তনের মৌখিক আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বারবার প্রতারিত হয়ে আশ্বাসের ওপর বিশ্বাস করে আবারও প্রতারিত হতে চান না। আজ দেশের সব এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।

’ 

তিনি বলেন, আজকের মধ্যে শতভাগ উৎসব ভাতার প্রজ্ঞাপন জারি এবং বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির ব্যাপারে সুস্পষ্ট ঘোষণা দেওয়া না হলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচির পাশাপাশি ১৭ ফেব্রুয়ারি গেদারিং ফর ন্যাশনালাইজেশন কর্মসূচি পালিত হবে।

তিনি কর্মবিরতি সফল করায় প্রতিষ্ঠানপ্রধান, শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উপস্থিত বক্তরা বলেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মাসিক ১০০০ টাকা বাড়িভাড়া, ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন, যা অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অমানবিক। ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা হিসেবে একজন এন্ট্রি লেভের শিক্ষক ৩১২৫ টাকা উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন, যা দিয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে কোনোভাবেই একজন শিক্ষকের পক্ষে ঈদ উৎসব উদযাপন করা সম্ভব নয়।

এই কর্মসূচির সাথে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরও স্বার্থ জড়িত রয়েছে। কারণ বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে একজন শিক্ষার্থীকে মাসে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত বেতন দিতে হয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ হলে শিক্ষার্থীরা ১০ থেকে ১৫ টাকা মাসিক বেতনে পড়াশোনা করতে পারবে। 

উপস্থিত সদস্যদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন জোটের যুগ্ম সদস্যসচিব প্রকৌশলী আবুল বাশার, আব্দুল হাই সিদ্দিকী, রবিউল ইসলাম, তোফায়েল সরকার, ফররুখ শেরাহ্, মো. কাইয়ুম, আফরোজা শ্রাবন, মোতাফিজুর রহমান নবিয়াবাদী, আব্দুর রহমান, অধ্যক্ষ আবু সায়েম মোল্লা,  উপাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান, মো. ইলিয়াস, আ. হালিম, ফয়েজ আহমদ, মো. রুহুল আমিন, রাশেদ মোশারফ, উপাধ্যক্ষ মো. আমিনুল ইসলাম, মো. কাইয়ুম, মো. মিজানুর রহমান, মো. জিয়াউল, মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

আরো দেখুন