যুবদল হবে উন্নয়নের প্রতীক, আতঙ্ক নয় : কুমিল্লায় মোনায়েম মুন্না

 

কুমিল্লা প্রতিনিধি ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

inside-post

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে যুবদলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না তার ঢাকা থেকে নোয়াখালী যাওয়ার পথে যাত্রা বিরতির সময় কুমিল্লায় মহানগর যুবদল নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এই বক্তব্য প্রদান করেন।

মোনায়েম মুন্না বলেন, “ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র করবেই, তবে আমাদের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তাদের মোকাবেলা করতে হবে। দলের বদনাম হয় এমন কাজ থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “যুবদল হবে কল্যানের। বদরুল লীগ, হাতুড়ি লীগ, হ্যালমেট লীগের মতো আতংকের নাম নয়। মরহুম শহীদ জিয়াউর রহমান যুবদল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘জাগো দল’ নামে। পরে তা যুবদল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। যুবদল মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।”

মোনায়েম মুন্না যুবদলের মূলনীতির ওপর জোর দিয়ে বলেন, “জাতীয়তাবাদী আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা, গণতন্ত্র, সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, সুশাসন ও আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা, যুব সমাজের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যুব সমাজের সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুব সমাজকে অংশগ্রহণ করানো এবং দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে যুব সমাজকে সংগঠিত করা।”

তিনি তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান। ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন, মানবাধিকার সুরক্ষা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, জাতীয় ঐক্য ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়ন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, বেকারত্ব দূরীকরণ, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশ, টেকসই পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উন্নয়ন, যোগাযোগ ও পরিবহন খাতের আধুনিকায়ন, কৃষি ও কৃষক উন্নয়ন, শ্রম ও কর্মসংস্থান নীতি, সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, পর্যটন ও বিনোদন খাতের উন্নয়ন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিকাশ, দারিদ্র্য বিমোচন, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ও সম্মাননা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, ক্রীড়া ও যুব উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংরক্ষণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ উন্নয়ন, শিক্ষা ও গবেষণা খাতের সমৃদ্ধি, শিল্প ও বাণিজ্য খাতের উন্নয়ন।

মহানগর নেতা-কর্মীরা রাস্তার দুপাশ থেকে হাত নাড়িয়ে শুভেচ্ছা জানালে মোনায়েম মুন্না গাড়ি থামিয়ে সবার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা কুমিল্লার মানুষের ভালোবাসা বুঝতে পারেননি কারণ মন্দ লোক কখনো কাউকে ভালো ভাবতে পারে না। আপনাদের এই স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে প্রমাণ হলো কুমিল্লার মানুষ ভালবাসতে জানে।”

মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সকল ওয়ার্ড থেকে শত শত লোক ফজরের নামাজের পর থেকে কেন্দ্রীয় নেতাকে শুভেচ্ছা জানাতে অপেক্ষা করেন। উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক ফয়সাল উর রহমান পাভেল, সদস্য সচিব রোমান হাসান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক মোঃ শরিফুর রহমান শরিফ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ হাসান মজুমদার, আরমান আলী খান, কাজী গোলাম মোস্তফা, মহিউদ্দিন হোসেন, আবুল হাসনাত হিরা, তোফায়েল হোসেন কাওছার, মোঃ আসাদ আলী, আমির খান, আলমাস আহমেদ, আলমগীর হোসেন, মোঃ খোকন মিয়া, মাহে আলম, মোঃ সোহাগ ইয়াছিন, মোঃ আলী রানা, বিল্লাল হোসেন, আলাল আহমেদ প্রমুখ।

বেলা ১১ টায় কোটবাড়ি বিশ্বরোডে যাত্রা বিরতি কালে মোনায়েম মুন্না নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন এবং উপস্থিত নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে পথসভা সমাপ্তি ঘোষণা করেন।†

আরো দেখুন