লালমাই ভূশ্চি ফাঁড়ি ইনচার্জের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ : অন্যত্র বদলি

লালমাই ভূশ্চি ফাঁড়ি ইনচার্জের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ : অন্যত্র বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক:২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

inside-post

কুমিল্লা পুলিশ নানা মানবিক কর্মকান্ডের কারনে যেখানে প্রশংসিত সেখানে এই ভূশ্চি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে এক আতঙ্কের নাম। কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ভূশ্চি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে ভূক্তভোগীরা অভিযোগ প্রেরণ করেছেন। ইতিমধ্যে উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়- প্রবাসী, স্থানীয় মুদি দোকানদার, ইটভাটা, রড সিমেন্ট, সিএনজি চালক, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, প্রবাসী, বিভিন্ন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন ফায়দা লুটেছেন ভূশ্চি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম। তাদের কাছ থেকে নগদ অর্থ, মালামাল, মাসিক বাজার আদায় করেছেন। এমনকি সিএনজি মাসিক ভাড়া চালিয়েও টাকা দেননি। এসব বিষয়ে কেহ মুখ খুলতে তাদেরকে মিথ্যা মামলার ভয় দেখানো হতো। যার ফলে জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পেতো না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ প্রেরণ করেছেন ভূক্তভোগীরা। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে চৌদ্দগ্রাম কনকাপৈত ফাঁড়ি বদলি করা হয়েছে।
অনেকে জানান- জহিরুল ইসলাম যে ফাঁড়িই যাক না কেন তার অত্যাচার বন্ধ হবে না। তিনি অপকর্ম চালিয়ে যাবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভূক্তিভোগী জানান, ভূশ্চি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম এলাকার মুদি দোকান থেকে মাসিক খরচ নিয়ে তিনি টাকা প্রদান করেন না। মাসিক সিএনজি চালিয়ে সিএনজির ভাড়াও প্রদান করনে না । কেহ প্রদান করলে তাদেরকে মিথ্যা মামলার ভয় দেখানো হয়। ইনচার্জ জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কাঁচা বাজার, মাছ বাজার, মাংস বাজারসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসিক খরচ নিয়ে টাকা দেন না। টাকা চাইলে তাদেরকে মিথ্যা মামলার হুমকি দেয়া হয়। এছাড়াও তিনি প্রবাসীদের সন্তান, প্রবাসীদের ধরে নিয়ে এনে মামলার ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা রফাদফা করেন। গত ৮/১/ ২০২৫ইং তারিখ ভূশ্চি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম ৩নং ভুলুইন ইউনিয়নের পূর্ব চলন্ডা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের পুত্র প্রবাসী মো: আল আমিন ও তেতুল তলা প্রবাসী মোতাহের হোসেনের পুত্র মো: রনির কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মোজাম্মেলের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ করেন তাদেরকে ছেড়ে এবং ১৫/২/২০২৫ ইং তারিখ যুক্তিখোলা হাসান ট্রেডার্সের ২ হাজার ইট নিয়ে যায়, শ্রীপুর মাসুদের স্ত্রীর কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাটি ব্যবসায়ী আনার মাধ্যমে টাকা নিয়ে মাসুদকে ছেড়ে দেয়। এ রকম অহরহ অভিযোগ উঠেছে ওই ইনচার্জের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে জহিরুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে লালমাই থানার ওসি শাহ আলম জানান- জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে আমার তা জানা নেই। পুলিশ সুপার মহোদয় তাকে চৌদ্দগ্রাম কনকাপৈত ফাঁড়িতে বদলি হয়েছে। আমাদের পুলিশ সুপার মহোদয় খুব ভালো লোক। তিনি এসব অপকর্ম বরদাস্ত করেন না।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহম্মেদ খান বলেন- যে কেহই অপকর্ম করবেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। কোন পুলিশ সদস্য অপকর্ম করার কোন সুযোগ নেই।

আরো দেখুন