আগস্ট থেকে ইইউ-মেক্সিকোর পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা ট্রাম্পের

আগস্ট থেকে ইইউ-মেক্সিকোর পণ্যে ৩০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা ট্রাম্পের
এই সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে উভয় অংশীদার। ইইউ হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এই শুল্ক সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটাবে। তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী থাকবে বলেও জানিয়েছে। অন্যদিকে মেক্সিকো একে ‘অন্যায় চুক্তি’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
মেক্সিকান সরকার জানিয়েছে, শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রে আলোচনার সময় তারা এই হুমকির কথা জানতে পেরেছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ১ আগস্টের আগেই একটি চুক্তির লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে ইইউর স্বার্থ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ আমরা নেব, যার মধ্যে প্রয়োজন হলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়াও রয়েছে।’
সংকটপূর্ণ মুহূর্ত
ইইউ ও আরো অনেক দেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এই বুধবার ১০ শতাংশ থেকে বাড়ার কথা থাকলেও ট্রাম্প সময়সীমা পিছিয়ে ১ আগস্ট করেছেন। সপ্তাহের শুরু থেকে ট্রাম্প ২০টির বেশি দেশে নতুন শুল্ক হারের চিঠি পাঠিয়েছেন, যার মধ্যে কানাডার জন্য ৩৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ইউএসএমসিএর আওতায় থাকা কানাডার পণ্য এই শুল্ক থেকে মুক্ত থাকবে বলে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ব্রাসেলস বৃহস্পতিবার জানায়, তারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে চুক্তি করতে প্রস্তুত, যাতে করে ২০ শতাংশ শুল্ক হার ফিরিয়ে না আনা হয়।
ট্রাম্প বছরের শুরুর দিকে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর পৃথক শুল্ক আরোপ করার পর ইইউ পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দুই হাজার ১০০ কোটি ইউরোর মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিয়েছিল, যা আপাতত ১৪ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে। ইউরোপীয় কর্মকর্তারা এখনো এই স্থগিতাদেশ বাড়ানোর কোনো পদক্ষেপ নেননি। তবে প্রয়োজনে তা দ্রুত করা সম্ভব।
আটলান্টিক কাউন্সিলের আন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান জোশ লিপস্কি বলেন, ‘চুক্তির দিকে অগ্রগতি সত্ত্বেও এই হুমকি দেখায় যে ইইউও এখন বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই অনিশ্চয়তার মুখে রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, এখন ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ইইউ কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানায় তার ওপর এবং এটিই ‘এই বাণিজ্যযুদ্ধের সবচেয়ে জটিল মুহূর্তগুলোর একটি’।
