লুটের অস্ত্রে রাজত্ব অপরাধ সাম্রাজ্যে হচ্ছে ছিনতাই ডাকাতি

লুটের অস্ত্রে রাজত্ব অপরাধ সাম্রাজ্যে
হচ্ছে ছিনতাই ডাকাতি
অনলাইন ডেস্ক

জানা যায়, ৫ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরীর ১৬ থানা-ফাঁড়ি থেকে বিপুল অস্ত্র ও গুলি লুট করে দুষ্কৃতকারীরা। পরে এসব অস্ত্র ও গুলি ছড়িয়ে পড়ে চট্টগ্রামের অন্ধকার জগতে। অপরাধীদের হাতে যাওয়া এসব অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানান অপরাধে। ১ মার্চ পাহাড়তলী থানার রানী রাসমণি ঘাট এলাকা থেকে দুই পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ৫ আগস্ট নগরীর পাহাড়তলী থানা থেকে লুট হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলায় গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয় নেজাম উদ্দিন ও আবু সালেককে। এর আগে তাদের ছোড়া গুলিতে আহত হন কমপক্ষে পাঁচ এলাকাবাসী। জেলা পুলিশের দাবি, গণপিটুনির আগে নিহত নেজাম পিস্তল দিয়ে এলাকাবাসীর ওপর গুলি করেছিলেন; যা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়। এ অস্ত্রটি ৫ আগস্ট কোতোয়ালি থানা থেকে লুট হয়। ২৫ জানুয়ারি নগরীর ডবলমুরিং থানার বর্ণাপাড়া ডেবার পাড় এলাকায় ডাকাতদের আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের দাবি, উদ্ধার গুলিগুলো থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের কিছু অংশ; যা দিয়ে ডাকাতি এবং সন্ত্রাসে ব্যবহৃত হতে পারে। ২৫ ডিসেম্বর নগরীর পাহাড়তলী থানার সাগরিকা কাস্টমস একাডেমির পেছনে ছিনতাইকারীদের আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। সে সময় দুটি পিস্তল এবং ১৫টি গুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার অস্ত্র ও গুলি ৫ আগস্ট পাহাড়তলী থানা থেকে লুট হয়।