এখন কেমন আছেন জামায়াত আমির?

এখন কেমন আছেন জামায়াত আমির?

 অনলাইন ডেস্ক

বক্তব্য দিতে দিতেই অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে গেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় মহাসমাবেশে বক্তৃতাকালে তিনি পড়ে যান।

এরপর কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে উঠে দাঁড়িয়ে তিনি দ্বিতীয় দফায় ফের পড়ে যান মঞ্চেই। এরপর তিনি আবারও উঠে বসেন এবং বসে বসেই নিজের বক্তব্য শেষ করেন।

পড়ে পায়ে হেঁটেই মঞ্চ থেকে নেমে যান জামায়াত আমির। 

এদিকে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল আমিরে জামায়াতের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সুসংবাদ দেন।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আমিরে জামায়াত বর্তমানে সুস্থ আছেন।

 

গণ-অভ্যুত্থানের এত দিনেও গুম-খুনের বিচারে কোনো অগ্রগতি হয়নি : আখতার

 অনলাইন ডেস্ক

গণ-অভ্যুত্থানের এত দিনেও গুম-খুনের বিচারে কোনো অগ্রগতি হয়নি : আখতার
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এত দিন হতে চললেও শেখ হাসিনার আমলের হত্যা, নিপীড়ন ও গুম-খুনের বিচারে কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

শনিবার (১৯ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে এক আলোচনাসভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আখতার হোসেন বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ছিল, বাংলাদেশের বিচার কাঠামো এমন হবে, যেখানে বিগত সময়ে দেশের মানুষের ওপর যে অত্যাচার, নিপীড়ন, গুম-খুন ও গণহত্যা হয়েছে, সেগুলোর পরিপূর্ণ বিচার হবে। কিন্তু এতগুলো মাস পেরিয়ে গেলেও আমরা বিচারের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি খেয়াল করিনি।

বাহাত্তরের সংবিধান নিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, ‘এটি এক ব্যক্তিকে রাষ্ট্রকাঠামোর মূলে রেখে হয়েছিল। যে কারণে গেল অর্ধশতাব্দীতে বাংলাদেশে কোনো ক্ষমতার ভারসাম্য আমরা দেখিনি। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক সংবিধানের বাস্তবতা রয়েছে।’
তিনি বলেন, একটি গণপরিষদের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন একটি সংবিধান প্রণয়ন করে, সেটি যাতে একক কোনো দলের ইশারায় পরিবর্তিত হতে না পারে—এমন এক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

যেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল ও জনগণের মতামতের ভিত্তিতে এটি গ্রহণ করা সম্ভব হবে।’ 

ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোর এক থাকার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘নানা কারণে আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার জায়গা তৈরি হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাওয়া-পাওয়ার হিসাব-নিকাশ থেকে পরস্পরের বিরুদ্ধাচরণের জায়গা তৈরি হয়েছে। কিন্তু এটা গণ-অভ্যুত্থানের প্রত্যাশার জায়গা ছিল না।

’ 

আখতার বলেন, ‘আমরা এমন এক বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, যেখানে প্রতিহিংসা, বিদ্বেষ ও পেশিশক্তির রাজনীতি উতরে গিয়ে আমরা মানুষের সমস্যা সমাধানে নাগরিক ও মানবিক মর্যাদার সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব। সেই পথে আমরা কতদূর অগ্রসর হতে পেরেছি, সেটা ইতিহাস বিবেচনা করবে। আমার কাছে এখনো মনে হয়, এক বছর পার হলেও আমাদের অপূর্ণ আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের আশা নিঃশ্বেষ হয়ে যায়নি।’

জামায়াতে ইসলামী একটি ইউনিভার্সাল ইউনিভার্সিটি : গোবিন্দ প্রামাণিক

 অনলাইন ডেস্ক

জামায়াতে ইসলামী একটি ইউনিভার্সাল ইউনিভার্সিটি : গোবিন্দ প্রামাণিক
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব ড. গোবিন্দ প্রামাণিক বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী শুধু একটা রাজনৈতিক দল নয়, এটা একটি ইউনিভার্সাল ইউনিভার্সিটি।’

আজ শনিবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে এসব কথা বলেন।

ড. প্রামাণিক তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব অস্বীকার করার অভিযোগ তুলে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামী লীগের কাছে রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে ছিলাম। ১৯৫৪ সালে যেদিন আওয়ামী লীগ গঠন হয়েছে সেইদিনই তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব অস্বীকার করে।

প্রতিনিধিত্বকে ধ্বংস করার জন্য উদ্দেশ্য নিয়েই আওয়ামী লীগ গঠন হয়েছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি তারা প্রতারণা করেছে। 

একইভাবে তিনি বিএনপির বিরুদ্ধেও হিন্দু সম্প্রদায়কে অবহেলা ও ক্ষতির অভিযোগ করেন বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ফেনীর একটি উপজেলায় ২০০ জন হিন্দু নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এবং সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে একজন আদিবাসী কিশোরীকে চারজন বিএনপি কর্মীর দ্বারা ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এদের কোনো বিচার হয়নি।

 

তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, যেমন চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ও টেন্ডারবাজির জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

গোবিন্দ প্রামাণিক জামায়াতে ইসলামীকে শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নয়, বরং একটি ‘ইউনিভার্সাল ইউনিভার্সিটি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, আপনারা এখানে আসেন শিক্ষা লাভ করেন। নীতি শিক্ষা দেন, আদর্শ শিক্ষা নেন এবং কিভাবে ধর্ম অনুযায়ী দেশ পরিচালনা নিজের জীবন পরিচালনা করা যায় এবং দেশ পরিচালনা করা যায় আপনারা সেই শিক্ষা লাভ করেন।

তিনি সমাবেশে উপস্থিত জনতাকে আশ্বস্ত করেন যে জামায়াতে ইসলামীর সাথে অংশগ্রহণের কারণে তাদের জীবন ধন্য হবে, এমনকি যদি রাজনৈতিক ক্ষমতা নাও থাকে।

 

ভবিষ্যৎ নির্বাচনের বিষয়ে প্রামাণিক ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধের ওপর জোর দিয়ে বলেন, আমরা বলতে চাই একবার ফ্যাসিবাদ বিদায় হয়েছে আবার কোনোদিন এই ফ্যাসিবাদ চাই না। এখানে জুলাই আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্যরা যদি আবারো এই দেশে পিআর সিস্টেম ছাড়া যদি নির্বাচন হয় আবার ফ্যাসিবাদ আসবে আবার আপনাদেরকে এই ফ্যাসিবাদ সরানোর জন্য জীবন দিতে হবে রক্ত দিতে হবে।

তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য এক দফা পৃথক নির্বাচন এবং পিআর পদ্ধতি ছাড়া কোনো নির্বাচন না করার দাবি জানান।

আরো দেখুন